বরগুনা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস – ঢাকা, বরিশাল ও বরগুনা

ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের প্রকারভেদ

ইমার্জেন্সি বা জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে, যেগুলো রোগীর অবস্থা, প্রয়োজন এবং পরিস্থিতির ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়। নিচে সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সের প্রকারভেদ দেওয়া হলো:

১. সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স (Basic Ambulance)

এটি সবচেয়ে প্রচলিত ও সাধারণ অ্যাম্বুলেন্স।
✅ অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্ট্রেচার, ফ্যান, হালকা চিকিৎসা সামগ্রী থাকে।
✅ অজ্ঞান নয় বা স্থিতিশীল রোগীদের স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়।

২. আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স (ICU Ambulance)

এটি চলন্ত হাসপাতাল বললেও ভুল হবে না।
✅ ভেন্টিলেটর, মনিটর, সাকশন মেশিন, কার্ডিয়াক মনিটর, ইনফিউশন পাম্প ইত্যাদি থাকে।
✅ গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীকে ট্রিটমেন্টসহ দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য।

৩. ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স (Freezing Ambulance)

মৃতদেহ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
✅ ভেতরে টেম্পারেচার নিয়ন্ত্রণ থাকে যাতে মৃতদেহ নষ্ট না হয়।
✅ দূরবর্তী এলাকায় মরদেহ পাঠানোর ক্ষেত্রে অপরিহার্য।

৪. পেশেন্ট ট্রান্সপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স (Patient Transport Ambulance)

✅ স্থিতিশীল রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে আরেকটিতে স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
✅ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সাধারণত থাকে না।

৫. এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (Air Ambulance)

✅ হেলিকপ্টার বা ছোট বিমানে গুরুতর রোগী পরিবহনের জন্য।
✅ উচ্চ খরচ সাপেক্ষ এবং সাধারণত দুর্গম অঞ্চল বা আন্তঃদেশীয় ব্যবহারে প্রয়োজন হয়।

৬. ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স (Water Ambulance)

✅ নদীমাতৃক বা জলাভূমির অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
✅ বাংলাদেশে সীমিতভাবে ব্যবহৃত হলেও উপকূলীয় এলাকায় কার্যকর হতে পারে।

৭. নন-ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স (Non-Emergency Ambulance)

✅ চেকআপ, নিয়মিত ডায়ালাইসিস, ফলোআপ ইত্যাদির জন্য রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
✅ এতে অতিরিক্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না।

৮. শিশু ও নবজাতক বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স (Neonatal Ambulance)

✅ শিশু ও নবজাতকের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত।
✅ ইনকিউবেটর, শিশু-উপযোগী ভেন্টিলেশন ও মনিটরিং থাকে।

৯. অ্যাডভান্স লাইফ সাপোর্ট (ALS) অ্যাম্বুলেন্স

✅ কার্ডিয়াক মনিটর, ভেন্টিলেটর, চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত প্যারামেডিক থাকে।
✅ জীবনঘাতী জটিল রোগীর জন্য।

১০. বেসিক লাইফ সাপোর্ট (BLS) অ্যাম্বুলেন্স

✅ প্রশিক্ষিত নার্স/প্যারামেডিক, অক্সিজেন, স্ট্রেচার, ব্যাগ-ভালভ-মাস্ক ইত্যাদি থাকে।
✅ সাধারণ জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়।

ইমার্জেন্সি এ্যাম্বুলেন্স – বরগুনা টু বরিশাল

১. বরগুনা সদর টু বরিশাল এসি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস/ ভাড়া = ৪০০০ টাকা। নন-এসি এম্বুলেন্স সার্বিস ভাড়া = ৩৫০০ টাকা।

২. বরিশাল বা ঢাকার  এসি এম্বুলেন্সর বরগুনা এলাকায় থাকলে সে ক্ষেত্রে বরিশালের ভাড়া = ৩০০০ টাকা।

এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সংজ্ঞা

এ্যাম্বুলেন্স হল একটি বিশেষায়িত যান, যা রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এতে থাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, দক্ষ চালক, এবং প্যারামেডিক টিম।

ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে গুরুত্ব

একটি দুর্ঘটনা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক কিংবা প্রসবকালীন জটিলতায় এ্যাম্বুলেন্স দ্রুত পৌঁছাতে পারলে রোগীর জীবন বাঁচতে পারে। এক মিনিট দেরি মানেই হতে পারে জীবন-মৃত্যুর ব্যবধান।

বরগুনা সদর এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

✅ রোগী পরিবহনঃ ঢাকা টু বরগুনা এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর নিয়োমিত ভাড়া = ১০৫০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০০০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহনঃ ঢাকা টু বরগুনা এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১৫০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১০০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহন ও সংরক্ষনঃ ঢাকা থেকে বরগুনা লাশবাহী ফ্রিজার এ্যাম্বুলেন্স সার্বিস গাড়ীর ভাড়া = ১৭০০০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি ঘন্টা = ৫০০ টাকা।

পাথরঘাটা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

✅ রোগী পরিবহনঃ ঢাকা টু পাথরঘাটা এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর নিয়োমিত ভাড়া = ১১০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০৫০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহনঃ ঢাকা টু পাথরঘাটা এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১২০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১০০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহন ও সংরক্ষনঃ ঢাকা থেকে বরগুনা লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ীর ভাড়া = ১৯০০০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি ঘন্টা = ৫০০ টাকা।

আমতলী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

✅ রোগী পরিবহনঃ ঢাকা টু আমতলী এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর নিয়োমিত ভাড়া = ১০০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ৯৫০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহনঃ ঢাকা টু আমতলী এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০৫০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহন ও সংরক্ষনঃ ঢাকা থেকে আমতলী লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ীর ভাড়া = ১৯০০০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি ঘন্টা = ৫০০ টাকা।

তালতলী সদর এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

✅ রোগী পরিবহনঃ ঢাকা টু তালতলী এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর নিয়োমিত ভাড়া = ১১০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০৫০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহনঃ ঢাকা টু তালতলী এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১২০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১০০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহন ও সংরক্ষনঃ ঢাকা থেকে তালতলী লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ীর ভাড়া = ১৯০০০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি ঘন্টা = ৫০০ টাকা।

বেতাগী সদর এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

✅ রোগী পরিবহনঃ ঢাকা টু বেতাগী এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর নিয়োমিত ভাড়া = ১০০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০৫০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহনঃ ঢাকা টু বেতাগী এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১০০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০৫০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহন ও সংরক্ষনঃ ঢাকা থেকে বেতাগী লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ীর ভাড়া = ১৭০০০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি ঘন্টা = ৫০০ টাকা।

বামনা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

✅ রোগী পরিবহনঃ ঢাকা টু বামনা এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর নিয়োমিত ভাড়া = ১০৫০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১০০০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহনঃ ঢাকা টু বামনা এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১৫০০ টাকা। নন-এসি এ্যাম্বুুলেন্স সার্ভিস এর ভাড়া = ১১০০০ টাকা।

✅ লাশ পরিবহন ও সংরক্ষনঃ ঢাকা থেকে বামনা লাশবাহী ফ্রিজার এ্যাম্বুলেন্স সার্বিস ভাড়া = ১৭০০০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি ঘন্টা = ৫০০ টাকা।

ইমার্জেন্সি এ্যাম্বুলেন্স – বরগুনা টু বরিশাল

১. বরগুনা সদর টু বরিশাল এসি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস/ ভাড়া = ৪০০০ টাকা। নন-এসি এম্বুলেন্স সার্বিস ভাড়া = ৩৫০০ টাকা।

২. বরিশাল বা ঢাকার  এসি এম্বুলেন্সর বরগুনা এলাকায় থাকলে সে ক্ষেত্রে বরিশালের ভাড়া = ৩০০০ টাকা।

বরগুনা টু ঢাকা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ভাড়া

১. বরগুনা সদর হতে রোগীকে ঢাকা পরিবহনের সাধারণ ভাড়া = ১৫০০০ টাকা। এবং বরগুনা থানার যেকোন এলাকা হতে ঢাকা ডিসকাউন্ট ভাড়া = ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা।

বিঃদ্রঃ ডিসকাউন্ট ভাড়ায় গাড়ি পেতে  ২ ঘন্টা আগে জানাতে হবে।

ইমার্জেন্সি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস – বরগুনা জেলা টু ঢাকা

১. বরগুনা চান্দুখালী টু ঢাকা এ্যাম্বুলেন্স নিয়মিত ভাড়া = ১২৫০০ টাকা। এবং ডিসকাউন্ট ভাড়া = ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা।

২. কেউড়াবুনিয়া, শিংড়াবুনিয়া, বাসতলা, ইটবাড়িয়া, পুড়াকাটা, বুড়ির চর, চাইলতা তলী, আয়লা ও ফুলঝুড়ি হতে ঢাকা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিয়মিত ভাড়া = ১৩০০০ টাকা। এবং ডিসকাউন্ট ভাড়া = ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা।

৩. মাইঠা, নলী মাইঠা, পরীরখাল বাজার, গর্জনবুনিয়া, বাবুগঞ্জ বাজার হতে ঢাকা, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিয়মিত ভাড়া = ১৩০০০ টাকা। এবং ডিসকাউন্ট ভাড়া = ১১০০০ (এগার হাজার) টাকা।

বরগুনা সদরের কিছু পরিচিত স্থানের নাম

ঢাকা টু বরগুনা, কেউড়াবুনিয়া, শিংড়াবুনিয়া, বাসতলা, ইটবাড়িয়া, পুড়াকাটা, বুড়ির চর, চাইলতা তলী, আয়লা ও ফুলঝুড়ি, মাইঠা, নলী মাইঠা, পরীরখাল বাজার, গর্জনবুনিয়া, বাবুগঞ্জ বাজার এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিয়মিত ভাড়া = ১১০০০ টাকা। এবং ডিসকাউন্ট ভাড়া = ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা।

FAQs (সচরাচর জিজ্ঞাসা)

১. ২৪ ঘণ্টা কোন কোন এলাকায় এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়?
ঢাকার প্রায় সব এলাকায় ২৪/৭ এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পাওয়া যায়।

২. ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স কীভাবে বুক করব?
অনলাইনে সার্ভিস প্রোভাইডারের ওয়েবসাইট বা ফোন নম্বরে কল করে সহজেই বুক করা যায়।

৩. এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া কত?
ভাড়ার পরিমাণ নির্ভর করে দূরত্ব, এ্যাম্বুলেন্সের ধরন এবং সার্ভিস টাইমের উপর।

৪. জরুরি ভিত্তিতে সবচেয়ে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স কে দেয়?
বেশিরভাগ বেসরকারি সার্ভিসই ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে।

৫. কি কি কাগজপত্র এ্যাম্বুলেন্সে থাকতে হয়?
ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজ, রোগীর প্রাথমিক তথ্য এবং ট্রিটমেন্ট কিট থাকা উচিত।